বুধবার তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩২ বছর পর আমরা ঢাকা শহরের সকল খাল-জলাশয়ের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছি। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে এটি আমাদের ওপর গুরুদায়িত্ব। সে লক্ষ্যে আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) থেকেই আমাদের কার্যক্রম আরম্ভ করেছি।’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ এবং ২০২১-২৩ মেয়াদে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১১টি খাল পুনরুদ্ধার, বর্জ্য দ্বারা যেগুলো বদ্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ আমরা সেখানে নান্দনিক পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করা যায়, বিনোদনমূলক পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করা যায়, আমাদের ছেলে-মেয়েরা, ঢাকাবাসী যেন সাইকেল চালিয়ে-হেঁটে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন, আমরা সেরকম ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সারা বছরই চলমান রাখার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ তাপস আরও বলেন, ‘আমরা যেকোনো সময়ের চেয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত বেগবান করেছি। ফলে এ বছর ডেঙ্গুর কারণে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।’
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে দান-অনুদানের সর্বোত্তম জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চাই। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে অনেক কার্যক্রম আমরা নিতে পারেনি। সে জন্য যারা আর্ত-মানবতার সেবায় নিবেদিত হতে চান, আমি তাদের সকলের প্রতি নিবেদন করব, আপনাদের যেকোনো দান-অনুদান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে প্রদান করুন। কারণ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়ে থাকে তা সম্পূর্ণরূপে আর্ত-মানবতার সেবায়, মানুষের দুর্যোগে ব্যয় করা হয়, বিনষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্য হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে কাউকে ডাক দিয়ে নয়, স্বেচ্ছায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্ত-মানবতার সেবার লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্টের সদস্য হয়েছেন। সুতরাং এখানে যদি কেউ মনে করেন, আমাকে ডাকা হয়নি, আমি মূল্যায়িত হলাম না। সেটা কিন্তু ভুল ভাবনা হবে। এটা আপনাদের কর্তব্য, আপনাদের দায়িত্ব। নিজ উদ্যোগেই আপনারা আজীবন সদস্য হয়েছেন, তাই নিজ উদ্যোগেই আপনার এলাকার যেকোনো দুর্যোগে, যেকোনো সমস্যায় আপনি এগিয়ে আসবেন- সেটাই কিন্তু কাম্য।’
ঢাকা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা আগামী বছরের মধ্যে এ সংখ্যা পাঁচ হাজারে নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা বাজেট তিনগুণ করেছি।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে ১২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শরিফ খানের সঞ্চালনায় এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্যরা বক্তব্য দেন।